নিস্বর্গ অপরূপা পানিহাটা

প্রকাশঃ মার্চ ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৪:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম

‘পানিহাটা-তারানি’ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার সীমান্তঘেঁষা ঘন সবুজ শ্যামল বন, খরস্রোতা পাহাড়ি ভোগাই নদী এবং গারো পাহাড়ের সঙ্গে মিতালী এসব ভ্রমণ পিয়াসীদের মন ভাবাবেগ করে তোলে।কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে যান নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা ও কর্মক্লান্তি।প্রকৃতির প্রতি নিখুঁত ভালোবাসায় হারিয়ে যায় স্বপ্নের রাজ্যে।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে পানিহাটা-তারানি এমনই নৈসর্গিক শোভামন্ডিত।ভারতের সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় চিরসবুজ বাংলা মায়ের অপরূপ দৃশ্য দেখার পাশাপাশি ভারতের সবুজ বনানী দর্শনার্থীদের অনেক বেশি মনের তৃপ্তি মেটায়।পানিহাটা পাদ্রি মিশনের পশ্চিম পাশে উঁচু পাহাড়ে দাঁড়িয়ে উত্তর দিকে চাইলে চোখে পড়ে নীলাভ-চিরসবুজ।

ভারতের পাহাড়ি তুরা জেলাকে যেন আবছা আবরণের চাদরে জড়িয়ে নিয়েছে কুয়াশার মতো মেঘ। দূরের টিলাগুলো কেবলই লুকোচুরি খেলে এরই আড়ালে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ছোট ছোট পাহাড়গুলোকে ফাঁকি দিয়ে তুরার পাশ দিয়ে পশ্চিমে চলে গেছে পাহাড়ি খরস্রোতা নদী ভোগাই।

একপাশে তার কাশবন আর অপর পাশে শত ফুট উঁচু দাঁড়িয়ে থাকা সবুজে জড়ানো পাহাড় ও নদী। নদীর টলটলে স্বচ্ছ পানির নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে নুড়ি পাথর।

এসব মিলে প্রকৃতি প্রেমীদের প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে অপরূপা পানিহাটা-তারানি পাহাড়। অবশ্য এলাকার জনগন এই পাহাড়টিকে পানিহাটা নামেই জানেন। কিন্তু এই সৌন্দর্য্যের ভাগটা শুধু পানিহাটাই নিতে পারেনি। এর একটা অংশে ভাগ বসিয়েছে পাশের তারানি গ্রামের পাহাড়।

তাই দর্শণার্থীদের জন্য পানিহাটা-তারানি দুটো মিলেই গড়ে উঠতে পারে পর্যটন স্পট। সবুজ চাদরে ঘেরা গারো পাহাড়ে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে চলে যান প্রকৃতির রাজ্যে। যারা শুনেছেন শেরপুরের বন্য হাতির তান্ডব তারা মিশনের পুর্বপাশে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি জাতি তথা পেকামারি গারো আদিবাসী পল্লীর অধিবাসীদের কাছ থেকে শুনতে পারবেন বন্যহাতির ধংসলীলার কথা।

মার্তৃতান্ত্রিক ব্যাবস্থার অধিনে পরিচালিত গারোদের পরিবারের প্রধান নারীরা। তাদের সহজ-সরল জীবন যেন ভ্রমন পিয়াসীদের অবাক করে দেয়। তাদের জীবন সংগ্রাম কাছে থেকে দেখারও শুনার সুযোগ পাবেন এই গ্রামে। দারিদ্র আর বন্যহাতির সাথে লড়াই করে বেচে থাকা এসব গারো আদিবাসীদের অকৃত্রিমিত আথিতীয়তা দেখে মুগ্ধ হন ভ্রমন পিয়াসীরা।

বর্তমান কৃত্রিমতার যুগে প্রকৃতির নির্মিত সবুজ বনানী দেখে কর্মক্লান্তি ভুলে অনাবিল আনন্দে দিনের আলোতেই ভ্রমন পিয়াসীরা ফিরে যান নিজ গৃহে।

পানিহাটা পাদ্রি মিশনের ফাদার রোমিও বলেন; অপার পর্যটন সম্ভাবনাময় পানিহাটা-তাড়ানি এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে এখানে প্রতিবছর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভীড় জামান। এখানে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব পাবে।

তবে তিনি আরো জানান, বর্তমানে চায়না মোড় থেকে পানিহাটা-তাড়ানি যেতে প্রায় ১.২০ কিঃমিঃ রাস্তা বর্ষাকালে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই এই রাস্তা টুকু জরুরী ভিত্তিতে পাকা করা প্রয়োজন।

প্রতিক্ষণ/এডি/রবি

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G